রহমান আরশের উপর উঠেছেন (হার্ডকভার) |
||
Author | : | ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া |
---|---|---|
Category | : | ঈমান, আক্বিদা ও তাওবাহ |
Publisher | : | কমিউনিটি ওয়েলফার ইনিশিয়েটিভ (সিডব্লিউআই) |
Price | : | Tk. 540 |
সারাদেশে হোম ডেলিভারি চার্জ মাত্র ৭০ টাকা # ১৪৯৯+ টাকার বই অর্ডার করলেই পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারি ! বি:দ্র: গ্রাহক বইটি অর্ডার সম্পূর্ণ করার পরে যদি নতুন সংস্করণের মূল্য পরিবর্তন হয় তাহলে বইটি পাঠানোর আগে আপনাকে আমাদের টিম ফোন করে জানিয়ে দিবে । |
সারাদেশে হোম ডেলিভারি চার্জ মাত্র ৭০ টাকা # ১৪৯৯+ টাকার বই অর্ডার করলেই পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারি !
বি:দ্র: গ্রাহক বইটি অর্ডার সম্পূর্ণ করার পরে যদি নতুন সংস্করণের মূল্য পরিবর্তন হয় তাহলে বইটি পাঠানোর আগে আপনাকে আমাদের টিম ফোন করে জানিয়ে দিবে ।
আল্লাহর প্রশংসা করছি, যিনি তাঁর ‘আরশকে সপ্তম আসমানের উপরে উঠিয়েছেন, তাঁর সৎ বান্দাদের অন্তরকে সেটা বিশ্বাস করার জন্য উপযোগী করে দিয়েছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি ব্যতীত আর কোনো সত্য ইলাহ নেই, তিনি তাঁর ‘আরশের উপরে উঠেছেন এবং সেখানেই আছেন। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল, ‘আরশের উপর থেকে তিনি তাঁর নবীকে ডেকে নিয়েছেন এবং তাঁর কাছে সেখান থেকে অহী প্রেরণ করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে যেসব বড় বড় নি‘আমত প্রদান করেছেন তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, তিনি আমাদের জন্য তাঁর দীনকে পূর্ণ করে দিয়েছেন, আকীদাহকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শরী‘আতকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দীনের মধ্যে যা কিছুর প্রয়োজন আমাদের হবে, সেসবই তিনি নিজে বর্ণনা করেছেন, রাসূলের যবানীতে ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন।
কোনো সন্দেহ নেই যে, সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ জ্ঞান হচ্ছে আকীদাহ বিষয়ক জ্ঞান। আর আকীদাহ বিষয়ক জ্ঞান বলতে সে জ্ঞানকে বুঝায়, যা আল্লাহ তা‘আলার সাথে সম্পৃক্ত। আল্লাহ তা‘আলা সংক্রান্ত জ্ঞানই হচ্ছে তাওহীদের জ্ঞান। তাওহীদ মানেই হচ্ছে, আল্লাহর সত্তা, নাম, গুণ, কর্ম ও অধিকার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ। তন্মধ্যে প্রথমেই আসে আল্লাহ তা‘আলার সত্তা, নাম ও গুণ সম্পর্কে জানা। ‘আল্লাহর ‘আরশের উপর উঠা’ এ আকীদাহটি এ তিনটি অংশের সাথেই ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। আল্লাহর সত্তা, নাম ও গুণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেই আকীদাহ’র বাকী বিষয়গুলো জানা সহজ হয়, নতুবা অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানোর মতো অবস্থা হয়। এখানে কয়েকটি নিরেট সত্য কথা আমাদের জানা থাকতে হবে:
১- সহীহ আকীদাহ’র বিষয়টি কুরআন ও সু্ন্নায় বিস্তারিত এসেছে। আকীদাহ’র কোনো বিষয়, বিশেষ করে আল্লাহ তা‘আলার সত্তা, নাম ও গুণ এমন নয় যা কুরআন ও সুন্নায় বর্ণিত হয়নি।
২- সহীহ আকীদাহ’র বিষয়গুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন, তিনি আমাদেরকে সাধারণ ফিকহী জিনিস বিস্তারিত বলেছেন, আর আকীদাহ’র মৌলিক আল্লাহ তা‘আলার নাম ও গুণের বিষয়ে বলেননি, এমনটি হতে পারে না। বরং তিনি আকীদাহ’র বিষয়গুলো বর্ণনার জন্য জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন। একটি উদাহরণ দিতে পারি, কীভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈমান ও তাওহীদের মাপকাঠি হিসেবে আল্লাহ তা‘আলা উপরের দিকে থাকাকে নির্ধারণ করেছেন। যেখানে দাসীর ঈমান পরীক্ষা করেছেন আসমানের উপরে ‘আরশে থাকার বিষয়টি তার কাছ থাকার মাধ্যমে। ইমাম যাহাবী বলেন, ‘দাসীকে মুক্ত করার হাদীস থেকে দু’টি জিনিস জানা যায়: এক. মুসলিমের জন্য এটা প্রশ্ন করা শরী‘আতসম্মত যে, আল্লাহ কোথায়? দুই. যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তার জন্য উত্তর দেয়া বৈধ যে, আসমানের উপরে।’
৩- সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম আকীদাহ’র বিষয়গুলো বিস্তারিত বুঝতেন। তারা আল্লাহর নাম ও গুণকে ভালোভাবেই জানতেন। সেজন্যই আমরা দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জানিয়েছেন, সিফাতকে ভালোবাসা আল্লাহ তা‘আলার ভালোবাসা পাওয়ার মাধ্যম ও জান্নাতে যাওয়ার কারণ; হাদীসে এসেছে, ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবীকে কোনো এক অভিযানের জন্য আমীর করে পাঠালেন, তিনি সালাতে তার সাথীগণকে নিয়ে কুরআন পড়তেন। কিন্তু তিনি কিরাতের সমাপ্তি টানতেন সূরা ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ দিয়ে। অতঃপর তারা যখন অভিযান থেকে ফিরে আসলেন তখন সাহাবীগণ সেটা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে জিজ্ঞেস করো কেন সে উক্ত কাজটি করত? তখন তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, কারণ এটি রহমানের গুণ। আর আমি এটা দিয়ে সালাত পড়তে পছন্দ করি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন।”
অপর হাদীসে এসেছে, আনাস ইবন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আনসারগণের এক লোক তাদের নিয়ে মসজিদে কুবাতে ইমামতি করতেন। তিনি যখনই কোনো সূরা দিয়ে সালাত শুরু করতেন, যা দিয়ে সালাত পড়া হয়, তখনই তিনি প্রথমেই ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ সূরা দিয়ে শুরু করতেন তারপর তা শেষ করতেন, তারপর এর সাথে অন্য আরেকটি সূরা পড়তেন। আর তিনি সেটা প্রতি রাকাতেই করতেন। তার সাথীরা এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বললে তারা বলল, তুমি এ সূরা (ইখলাস) দিয়ে শুরু কর, তারপর এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে মনে কর না যতক্ষণ না তুমি তার সাথে অন্য সূরা মিলাচ্ছ, হয় তুমি এটা দিয়েই সালাত পড় নতুবা এটাকে ছেড়ে দাও এবং অন্য কোনো সূরা দিয়ে সালাত পড়। তখন সে বলল, আমি সেটা ছাড়তে পারবো না, যদি তোমরা পছন্দ করো যে, আমি এভাবে তোমাদের সালাতের ইমামতি করব, তাহলে তা করবো, নতুবা আমি তোমাদের ছেড়ে যাব। আর তারা মনে করত সে তাদের মধ্যে উৎকৃষ্ট, আর সে ব্যতীত অন্য কেউ তাদের ইমামতি করবে সেটা তারা অপছন্দ করত। অতঃপর তারা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে তাঁকে বিষয়টি সম্পর্কে সংবাদ দিলে তিনি বললেন, “হে অমুক, তোমার সাথীরা তোমাকে যা করতে বলে তা করতে তোমাকে কিসে নিষেধ করল, আর কিসে তোমাকে প্রতি রাকাতে এ সূরা পড়তে বাধ্য করলো?” সে বলল, আমি এ সূরাটিকে পছন্দ করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “এ সূরার প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছে।”
Title | রহমান আরশের উপর উঠেছেন |
---|---|
Author | ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া |
Publisher | কমিউনিটি ওয়েলফার ইনিশিয়েটিভ (সিডব্লিউআই) |
Pages | 552 |
Edition | 1st Published, 2020 |
Country | Bangladesh |
Language | Bangla |
১৯৬৯ সালে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন ধনুসাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সরকারী মাদ্রাসা-ই আলীয়া ঢাকা হতে ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত কামিল (হাদীস) পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তারপর মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাস্টার্স, এম-ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ‘আল কুরআনুল কারীমের অর্থানুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর’ নামে কুরআনের বৃহৎ খিদমত আঞ্জাম দিয়েছেন, যা কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং প্রেস সৌদি আরব থেকে প্রকাশিত। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর তার লিখিত, অনূদিত ও সম্পাদিত বহু সংখ্যক বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া’র আইন ও শরী‘আহ অনুষদভুক্ত আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
42%
25%
30%
30%
30%
45%
30%
30%
40%
Please login for review