প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের ইতিহাস। এবং সেই ইতিহাস শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের। আর এই সন্ত্রাসবাদ দাঁড়িয়ে আছে একটি মাত্র এজেন্ডার উপর - যে এজেন্ডার মূল মন্ত্র- "নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার"।

ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য। বইয়ের প্রতিটি পাতাই তার প্রমাণ বহন করবে। এই এজেন্ডার মূল কেন্দ্রবিন্দু বিবর্তিত হতে হতে এখন এসে ঠেকেছে " ইসলাম"-র কাছে।

"ইসলাম" শব্দটি পশ্চিমাদের জন্য কোন কালেই হুমকি ছিলো না । উপরন্ত, "ইসলামী সন্ত্রাসবাদ" শব্দটি পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের লক্ষ্যগুলি পূরণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে । এদিকে, "সন্ত্রাসবাদ" শব্দটি নিজেই ইসলামে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।

তাহলে, এরা কারা?

যারা ইসলাম শব্দটিকে ঢাল বানিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে?

মূলত এই জাতীয় সন্ত্রাসবাদী দলগুলো কৃত্রিমভাবে তৈরি করা আর এর ইন্ধন দাতা পশ্চিমা বস্তবাদী যান্ত্রিক সভ্যতা। তবে পশ্চিমাদের এই শক্তির সাথে জড়িয়ে রয়েছে গুপ্ত সংস্থাগুলি। এরাই মূলত পর্দার আড়ালের কেন্দ্রিয় ভিলেন।

এসব গুপ্ত সংস্থা যা খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী ব্যাবিলনীয় কাব্বালাহ থেকে শুরু হয়েছিল। এদের মূল এজেন্ডা ছিলো প্রতারণার দ্বারা বিশ্বকে শাসন করার ষড়যন্ত্র।
দ্য গ্রেট হেরোডের অধীনে একাধিক রাজবংশ উত্থিত হয়েছিল, যিনি রোমান বিশ্বকে খ্রিস্টধর্মের একটি দূষিত সংস্করণ চাপিয়ে দিয়েছিলেন। ক্রুসেড চলাকালীন, ইসমাইলি অ্যাসাসিনদের সাথে তাদের যোগসূত্র স্কটিশ রাইট ফ্রিম্যাসনারি নামে পরিচিত। এটাই সেই ভিত্তি তৈরি করে।

নেপোলিয়ন যখন মিশর জয় করেছিলেন, তখন এই ফ্রিম্যাসনরা তাদের ভাইদের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করে এবং উনিশ শতকের শেষের দিকে ওকাল্ট রিভাইভাল, সৌদি আরব দ্বারা প্রচারিত ইসলামের সালাফি সংস্কার আন্দোলন, এবং নাজিবাদ ইত্যাদির মতো উন্নয়নের সূচনা করেছিল। তারা বিশ্ব আধিপত্যের প্রকল্পটি আরও এগিয়ে নিতে সিআইএ দ্বারা পরিচালিত ভণ্ডদের একত্রিত মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেছিল।

বাস্তবতা চোখের সামনেই উপস্থিত। প্রকৃতপক্ষে, মুসলিম দেশগুলোই পশ্চিমা সন্ত্রাসের শিকার। কিন্তু মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো নিখুঁতভাবে এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের সাথে, বিশ্বের সাধারণ মানুষের কাছে ঠিক উল্টো চিত্র স্থাপন করে আসছে ।

এই বই আপনাকে নিয়ে যাবে চোখে দেখা ইতিহাসের অন্তরালে। বুঝতে সাহায্য করবে, কিভাবে গুপ্ত সংঘগুলো তাদের মূল লক্ষ্যে পরিণত করেছে "ইসলাম" নামক শব্দটিকে।