Order Now

রামাদানের প্রতিটি মুহূর্ত মহান প্রভুর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের অবারিত সুযোগ। প্রতিজন মুমিনের তাই উচিত রামাদানকে জীবনের অপার সুযোগ ও সৌভাগ্য মনে করা। এ মাসে মানুষের উপলব্ধি জেগে ওঠে। বছরব্যাপী যারা অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত থাকে তারা আমলে সচেষ্ট হয়। কিন্তু ধর্মীয় বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় তারা রামাদানকে সঠিক ও উপযোগী পন্থায় কাজে লাগাতে পারে না। অর্জন করতে পারে না কাক্সিক্ষত লক্ষ্য।

মুমিনের জীবনে রামাদান শীর্ষক গ্রন্থটি সে প্রয়োজন ও শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করি। এ গ্রন্থটি সাজানো হয়েছে ইতিহাসের ক্ষণজন্মা অবিস্মরণীয় মনীষাদের রচনামালায়। তাই ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে যেন অফুরন্ত মণিমাণিক্য আর হিরা-জহরত। যে-কোনো নিরাবেগ হৃদয়কে আবেগদীপ্ত করে তুলবে। শক্ত পাষাণ মনকে দ্রবীভূত করে দেবে। উদ্বুদ্ধ করবে ‘আমলে সালেহ’ এর প্রতি


Durbarshop Author Image

হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী রহ.

বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ., সংক্ষেপে ইমাম গাজ্জালী ছিলেন একজন সুফিসাধক ও মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শিক্ষাবিদ, যিনি তাঁর দর্শন ও চিন্তাধারা বিশ্ব মুসলিমদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তাঁর পারিবারিক ব্যবসা সুতা সংক্রান্ত হওয়ায়, সেখান থেকে তার নাম গাজ্জালী হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যেহেতু 'গাজ্জাল' শব্দের অর্থ সুতা। ১০৫৮ খ্রিস্টাব্দে (হিজরি ৪৫০ সাল) ইমাম গাজ্জালী ইরানের খোরাসান প্রদেশের অন্তর্গত তুস নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং এই তুস নগরীতেই তার শৈশবকাল ও শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি ইসলামের স্বর্ণযুগে জন্ম নেন, যে যুগে শিক্ষা, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে মুসলমানরা অনেক এগিয়ে গিয়েছিলো। একইসাথে বিস্তার লাভ করেছিলো পাশ্চাত্য ও গ্রিক দর্শনেরও। ইমাম গাজ্জালী এসকল বিষয়েই দীক্ষা লাভ করেন এবং বিশেষ করে ঐ যুগের বিখ্যাত ধর্মতত্ত্ববিদ আলেম ইমামুল হারামাইন আল জুয়াইনির কাছ থেকে ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। মুসলিম দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, ফিকহশাস্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পারদর্শী । জ্ঞান-বিজ্ঞানের তীর্থস্থান বাগদাদের সেরা বিদ্যাপীঠ নিযামিয়া মাদ্রাসায় তিনি অধ্যাপনা করেন। তিনি তৎকালীন বাদশাহর দরবারেও আসন লাভ করেন। তবে সুফিবাদ ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বিষয়ে তীব্র আকর্ষণ থাকায় তিনি জ্ঞান আহরণের জন্য দেশ-বিদেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন ও নানা বিষয় সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান অর্জন করেন। ইমাম গাজ্জালী রহ. বই রচনার মাধ্যমে তাঁর অর্জিত এসকল জ্ঞান মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ. এর বই সমূহ-তে তিনি আলোচনা করেছেন সুফিবাদ, ইসলামি দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে, এবং তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা চার শতাধিক। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ. এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'আসমাউল হুসনা', 'মিশকাতুল আনোয়ার', 'ফাতাওয়া', 'মিআর আল ইলম', 'হাকিকাতুর রুহু', 'দাকায়েকুল আখবার' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ১১১১ খ্রিস্টাব্দে (৫০৫ হিজরি) তিনি নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে মৃত্যবরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় একজন মনীষী।


This is Review

Reviews and Ratings