product images
চিরকুট
by ফাতিমা আফরিন

Tk. 175 Tk. 250 Save TK. 75 (30%)

Services & Supports


Cash On Delivery
3 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
Purchase & Earn
Order Now

‘আপনি মাসনা-সুলাসা-রুবায়াকে কেমন চোখে দেখেন?’

‘আমি মাসনা-সুলাসা-রুবায়ার বিরোধিতা করি না, তবে অতিরঞ্জিতও পছন্দ করি না। মাসনা জায়েজ, ফরয নয়। কথাটা যেমন ঠিক, আবার মাঝেমাঝে অনেকের জন্য মাসনা করাটাও ফরজ হয়ে যায়। যদি মাসনার বিরধীতা করি তাহলে কু’রআনের বিরধীতা করা হয়ে যাবে।

কোন নারী চায় না স্বামীর ভাগ দিতে, তুমিও চাইবে না জানি, তাই বলে তো মাসনার বিরধীতা করতে পারি না। যদি স্বামীর মাসনা করার একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে বাধা দেওয়া আমাদের উচিত না। কষ্ট হলেও উচিত না।
কিন্তু আমাদের সমাজের জটিলতার কারণেই মাসনা করা খুব কষ্ট। এমনও অনেক ছেলে আছে নীরবে নিভৃতে বসেবসে কাঁদে, কিন্তু সমাজের জটিলতার কারণে, প্রথম স্ত্রীর মুহাব্বতের কারণে, সমতা রক্ষা করতে না পারার ভয়ে মাসনা করে না। কিন্তু খুব কাঁদে।

যদি স্ত্রীর হক আদায়ে পুরুষরা সচেতন হয়, যদি সমতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে সচেতন হয় তাহলে মাসনা করা সহজ হতো। পুরুষরা যেমন অক্ষম, মেয়েরাও তেমন অক্ষম।
আমাদের সমাজের অলিতে গলিতে লুকিয়ে আছে হাজারো নারীর সতিত্ব হারানোর নীরব আর্তনাদ। কাজের মেয়ে হিসেবে বাসায় নিয়ে বাসার মহিলারা স্বামীর কাছে মেয়েটিকে বিলিন করে দেয়, কারণ একটাই- মহিলাটা অক্ষম। কাজের মেয়েকে দিয়ে স্বামীর চাহিদা মেটায়।
মহিলার ভাষ্য ঠিক এমন থাকে- আরে তোরই তো দুলাভাই, একটু সাহায্য কর, আমি একটু অসুস্থ।

অসহায় মেয়েটি কোনো উপায় না পেয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজেকে সপে দেয়। আমরা কখনও এই গরীব মেয়েদের কথা ভেবে দেখি না। আমাদের সমাজের নারীরা মাসনা করাতে রাজি নয় তবে স্বামীকে জেনাকার বানাতে রাজি হয়ে যায়। যদি কাজের মেয়েকে লেলিয়ে না দিয়ে জায়েজ পন্থা অবলম্বন করতো, তাহলে অন্তত তিনটি গুনাহ থেকে বাঁচতে পারতো।

সুমাইয়া বলল, ‘কোন তিনটি গুনাহ থেকে বাঁচতে পারতো?’

ইয়াসির বলল, ‘এক নাম্বার হলো, স্বামী জেনাকারি হতো না। দুই- গরীব মেয়েটি সতিত্ব হারাতো না। তিন- যদি মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়, তাহলে জারজ সন্তান জন্ম হত না।

যদি মাসনা করা সমাজে সহজ হতো, তাহলে জিনা-ব্যাভিচার কিছুটা হলেও কমতো।

আল্লাহ সুবহানাহু তা'য়ালা যেমন পুরুষকে মাসনা-সুলাসা-রুবায়ার অনুমতি দিয়েছেন, ঠিক তার বিপরিত রোজা রাখার বিধানও দিয়ে দিয়েছেন। আবার সমতা রক্ষা না করতে পারলে কেয়ামতের দিন কঠিন শাস্তির কথাও বলেছেন। আল্লাহ কাউকে ছাড় দেন না, আবার কারো উপর জুলুমও করেন না।

আমাদের সমাজের অধিকাংশ পুরুষরাই সমতা ও সততা রক্ষা করতে পারে না, নারীর মৌলিক অধিকার আদায় করতে পারে না, এজন্যই বর্তমান সমাজ একাধিক বিয়েকে সমর্থন করে না।

সমতা রক্ষা করতে না পারার পেছনেও নারীদের ভূমিকা কম নয়। এক সতীন আরেক সতীনকে সহ্য করতে পারে না। নারীরা পুরুষের চরিত্র হরণ করার ক্ষেত্রে কয়েকধাপ এগিয়ে। একজন প্রাজ্ঞ পুরুষের চরিত্র হরণ করার জন্য একজন বদকার নারীই যথেষ্ঠ। সুমু, সমাজে বহু-বিবাহের যেমন প্রয়োজন আছে, তদুপরি একজন স্ত্রী নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকারও প্রয়োজন আছে।

আমি আল্লাহকে ভয় করি। আর বহু-বিবাহের ইচ্ছা আমার নেই। একটাতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই।

সুমাইয়া বলল, ‘আমিও বহু-বিবাহের বিরোধিতা করি না তবে…।’

‘তবে কী?’

‘ভয় হয়, যদি আমার স্বামী আমার থেকে হারিয়ে যায়?’

‘আরে পাগলী! বাজে চিন্তা বাদ দাও। তোমাকে একটা সুখবর দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন। এতো কথার মধ্যে সুখবরটাই দেওয়া হলো না।’

সুমাইয়া বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘কী সেই সুখবর?’
 


Title চিরকুট
Author ফাতিমা আফরিন
Publisher নিয়ন পাবলিকেশন
ISBN 9789843481054
Pages 128
Edition 1st Published, 2020
Country Bangladesh
Language Bangla

Durbarshop Author Image

ফাতিমা আফরিন


This is Review

Reviews and Ratings